পার্টনারশিপে বিজনেস কিভাবে করবেন?

বিজনেস পার্টনার নেয়ার জন্য বা খোঁজার জন্য পোস্ট বা বিজ্ঞাপন নয়, আগে তার সাথে ৬ মাস মেলামেশা করুন।


এখানে আপনারা হাজার হাজার হবু উদ্যোক্তা একে অন্যের পার্টনার/ইনভেস্টর হতে পারেন। কিন্তু যে কারো সাথে পার্টনার হবার আগে বা টাকা দেবার আগে যে বিষয়গুলু নিশ্চিত হয়ে নিবেনঃ

১। একে অন্যকে পার্সোনালি ভিজিট করবেন, বসে মিটিং করবেন, নিজেদের প্লান ও আইডিয়া নিয়ে আলাপ করবেন, আগে অন্তত ৬ মাস তার সাথে মিশে তারপর সিদ্ধান্ত নিবেন। 

২। নিজেদের বাড়ি (এবং অফিস) ভিজিট করবেন

৩। নিজেদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা যাচাই করে নিবেন

৪। কতটা কর্মঠ ও কাজের প্রতি সিরিয়াস তা বুঝে নিবেন 

৫। পার্টনারশিপ ডিড করে নেবেন ষ্ট্যাম্প পেপারে এবং তা নিবন্ধন করে নিবেন

৬। যার যার শেয়ারের অংশ ও দায়িত্ব লিখিত করে নিবেন ঐ ডিডে। 

৭। সব লেনদেন ব্যাংকের মাধ্যমে করবেন।

৮। পার্টনার ২ জন বা ততধিক জন হলে কমপক্ষে ২-৩ জন ব্যাংকের চেক সিগনেটরি হবেন।

৯। সবার প্রাথমিক মূলধন ব্যাংকে জমা হবার পর বিজনেসের কাজ শুরু করবেন। 

১০। বিজনেস প্লানটা ভালো ভাবে করে নিবেন এবং বিজনেস শুরু করার পর পরবর্তী ১ বছর বা লাভে না আসা পর্যন্ত অফিস চালাতে নগদ টাকার জোগানে যাতে সমস্যায় পড়তে না হয়, তা নিশ্চিত করে নিবেন।

১১। তবে ১৫-২০ জনের অধিক একত্রে কোন কিছু করতে গেলে অনেক সময় নেতৃত্ব ও ফান্ড নিয়ে ঝামেলা হয়, ওটা মাথায় রাখবেন। 

শুধু মাত্র এগ্রিমেন্টের বিপরীতে কাউকে কোন টাকা বিনিয়োগ বা মূলধন হিসেবে দিবেন না। মূলধন হিসাবে কারো হাতে কোন টাকা দিবেন না, এটা জমা করবেন কোম্পানির ব্যাংক হিসাবে। আপনি নিজেও একজন চেকের সিগ্নেটরি থাকবেন।

আপনি বিনিয়োগ করবেন কোন প্রতিষ্ঠানের সাথে, কোন বাক্তির সাথে নয়।

কি বিজনেস কি প্রোডাক্ট, কিভাবে সেল হবে সব আগে বুঝে নিবেন।

আপনি টাকা বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন, তার বিপরীতে আপনার ঐ কোম্পানি/বিজনেসে শেয়ার কত আগেই ঠিক করে নিবেন।

ঐ প্রতিষ্ঠানে আপনার কাজ বা দায়িত্ব কি তা আগে বুঝে নিবেন।

বিশ্বাস করবেন কিন্তু একটু যাচাই করে।

Post a Comment

Previous Post Next Post