রাইটিং স্কিল ইম্প্রুভ করার টেকনিক

আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভালো আছেন। কন্টেন্ট রাইটিং নিয়ে যারা কাজ করেন বা করতে চান তাদের মধ্যে একটি কমন প্রশ্ন রয়েছে। তা হলো,
কিভাবে নিজের লেখা ইম্প্রুভ করতে পারি?
এখানে আমি আমার ক্ষুদ্র অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু টিপস শেয়ার করব কিভাবে আপনি রাইটিং স্কিল ইম্প্রুভ করবেন, যদি কোন ভুল হয় ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। তো যাই হোক চলুন শুরু করা যাক 
১. পছন্দকে প্রাধান্য দিন
রাইটিং এর ক্ষেত্রে একটি প্রচলিত কথা আছে "লেখার ক্ষেত্রে আপনার পছন্দকে প্রাধান্য দিন"। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
কেন জানেন? 
কারণ, আপনি যদি এমন জিনিস নিয়ে শুরু করলেন যার আগা মাথা আপনি নিজেই বুঝতে পারছেন না তখন কি আপনার রাইটিং ভালো লাগবে? অবশ্যই লাগবে না তখন দেখবেন লেখার প্রতি বিতৃষ্ণা এসে পড়বে। 
আমার একটা ছোট্ট স্টোরি শেয়ার করি। আমি যখন ভাবলাম যে আমি কন্টেন্ট রাইটার হবো তখন আমি ইংলিশ আয়ত্ত্বে আনার জন্য ইংলিশ স্পোর্টস নিউজ গুলো নিজের মতো করে লিখতাম। কেন জানেন? কারণ হচ্ছে আমি স্পোর্টস খুব পছন্দ করি। আর আগে আমি একটা স্পোর্টস অনলাইন নিউজ পোর্টালে কাজ করেছি তাই আমি জানতাম এটা আমার ভালো লাগার জায়গা। তাই এই ভালো লাগার জায়গাতেই কোপ দিয়ে শুরু করেছিলাম। আমি যদি অন্য কিছুতে শুরু করতাম তবে কিন্তু ঝড়েও যেতে পারতাম। তাই বলি পছন্দকে প্রাধান্য দিন।

২. রুটিন করে লিখুন
নিয়ত করেছেন কন্টেন্ট রাইটার হবেন?  তাহলে এবার একটা রুটিন করে ফেলুন। রুটিনটা করবেন এমনভাবে যখন আপনার মাইন্ড ফ্রেশ থাকবে এবং লিখতে ভালো লাগবে। আপনার কিন্তু দিনের ২৪ ঘন্টা লিখতে ভালো লাগবে না। কারণ রাইটিং ফ্রেশ মাইন্ডে লিখতে সুবিধা হয় ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি।
কেউ আছে ভোর বেলা শুরু করতে কমফোর্টেবল, আবার কেউ রাত জেগে লিখতে কমফোর্টেবল। আর আপনার কমফোর্টেবল টাইম আপনি নিজেই বলতে পারবেন। তাই সেই টাইম অনুযায়ী রুটিন করে লিখুন। অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন রুটিন মিস না হয়।

৩. লিখতে চাইলে পড়তে হবে
এইটাকে কন্টেন্ট রাইটিং এর নীতি বললেও মন্দ হয় না। মন্দ কেন এটাকে নীতি বলাই যায়। কারণ আপনি যদি লিখতে চান তবে আপনাকে প্রচুর পরিমানে পড়তে হবে। আপনার যদি পড়ার অভ্যাস না থাকে তবে অভ্যাস গড়ে তুলুন। কেননা না পড়লে আপনি কন্টেন্ট আইডিয়া জেনারেট করতে পারবেন না।
অনেকেই বলেন কোথায় কোন ব্লগ পড়বো। দেখুন আপনি নির্দিষ্ট একটা নিশ সিলেক্ট করে গুগলে সার্চ দিন। এরপর হাজার হাজার, লাখ লাখ ব্লগ পেয়ে যাবেন। তবে আপনি Elnacain, Writing Revolt এই ব্লগগুলো পড়তে পারেন।

৪. ছোট কিছু লিখে শুরু করুন
অনেক তো হলে লক্ষ্য তৈরি করা, রুটিন করা, পড়া। এবার কি লিখবেন না? নাকি পড়লেই হবে। লিখতে হবে প্রচুর লিখতে হবে। 
কারণ আপনি যদি লিখতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে আর না লিখেন তাহলে আপনি কিন্তু জার্নির শুরুতেই হোঁচট খেয়ে যাবেন। এখন লিখুন লিখা শুরু করুন।
এখন খুব বেশি লিখা দিয়ে লেখা শুরু করবেন না। কেননা আপনি যদি শুরুতেই ১০০০ শব্দের লেখার চাপ নেন তা সহ্য নাও হতে পারবো। 
তাই আমি বলবো চেষ্টা করুন ১০০-২০০ শব্দের লেখা দিয়ে শুরু করুন। এভাবে একটু একটু করে আয়ত্ত্বে নিয়ে আসুন লিখাকে। এরপর ধীরে ধীরে ৫০০ এরপর ১০০০ এ যান। দেখবেন এটা চাপ লাগবে না। হালকা লাগবে আপনার।

৫. নিয়মিত লিখুন
এখন এমন করা যাবেনা যে আজ লেখলেন কাল বাদ দিলেন। যদি ভাবেন আজ তো লিখলাম অন্য আরেকদিন লিখবো। ঠিক আছে আজ আপনার মুড নেই তারপরও লেখালেখি চর্চার বিষয় তাই চেষ্টা করুন না পারলেও প্র্যাকটিসের জন্য ৫০-১০০ শব্দ লিখতে।
যদি নিয়মিত লিখেন তাহলে লেখার জড়তা কেটে যাবে। এভাবে করে নিয়মিত লিখার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে দেখবেন আপনি খুব দ্রুত এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।

তো যাই হোক, আজ আর বাড়াবো না। আজ এখানেই শেষ করছি। তবে এটার পরবর্তী পার্ট দ্রুত আসবে। 
ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post