Domain কি এবং Hosting কি? – এগুলো কিভাবে কাজ জেনে নিন?

প্রথমেই বলে রাখি, আপনি যদি ইতিমধ্যে জেনে থাকেন যে Domain কি এবং Hosting কি, তাহলে আপনার জন্য এই ব্লগটি উপকারে আসবে না।

এখানে শুধুমাত্র তাদের জন্যই বলা হয়েছে, যারা একদমই নতুন। যারা কিছু জানতে চাই অনলাইন সম্পর্কে।

তাই আপনি যদি তাদের মধ্যে একজন হয়ে থাকেন তাহলে পরবর্তি লিখা গুলো আপনার জন্য উপকারে আসবে আশা করছি।

অন্যান্য কথা বাদ দিয়ে চলুন শুরু করা যাক;

Domain কি এবং Hosting কি?

এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর এক সাথে দেওয়ার আগে আপনাকে একটি একটি করে উত্তর দেওয়া জরুরি। তাই চলুন প্রথমেই জেনে নিই ডোমেইন সম্পর্কে।

Domain হচ্ছে একটি নাম, পরিচত পত্র, বা একটা ঠিকানা। এগুলো হচ্ছে একদম সহজ এবং বেসিক ভাষায় বর্ণনা। চলুন একটু গভীরে যাই;

ইন্টারনেটের শুরুর দিকে ডোমেইন বলতে যা ছিল। তা ছিল IP Address, যেমনঃ 11.2.334.234 এই রকম কিছু সংখ্যা।

কিন্তু সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে এসব সংখ্যা মনে রাখা কঠিন ছিল। ফলে এমন একটি টেকনোলজি দরকার ছিল, যা দিয়ে সহজেই একজন ভিজিটর যেকোনো সাইট ভিজিট করতে পারবে।

ফলে সেসব আইপই এড্রেস গুলো কে ব্যাকইন্ডে রেখে ডোমেইন এর আবিষ্কার করা হয়। আর ডোমেইন নাম বলতে বুঝায়;

ফেইসবুক এর ডোমেইন নাম হচ্ছে “facebook”, আর এর Extension হচ্ছে (.com)। দুইটি মিলে হয়েছে facebook.com.

ঠিক যেমন আপনি আমার এই লিখাটি পড়ছেন jamilhossain.com এ। এখানে “jamilhossain” হচ্ছে ডোমেইন নাম এবং “.com” হচ্ছে এই ডোমেইন নামের এক্সটেনশন।
এখন পর্যন্ত প্রায় ২২০ টিরও বেশী ডোমেইন এক্সটেনশন রয়েছে, এর মধ্যে সব ছেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে (.com, .net, .org)। এছাড়া আপনি আপনার পছন্দমত যেকোনো এক্সটেনশন নির্বাচন করতে পারবেন।

তবে এক্সটেনশনের উপর ভিত্তি করে ডোমেইনের দাম কম বেশি হতে হয়ে থাকে।

আশা করছি কিছু টা বুঝতে পেরেছেন ডোমেইন নাম সম্পর্কে।

বলে রাখে ভালো, ডোমেইন এর নাম এবং এক্সটেনশন একবার রেজিস্ট্রেশন করা হলে, আর পরিবর্তন করা যায় না। তাই রেজিস্ট্রেশনের আগেই চিন্তা ভাবনা করতে হয় আপানর ওয়েবসাইটি কি নিয়ে হবে সেটির উপর।

কিভাবে একটি ভালো মানের রিলেভেন্ট ডোমেইন নির্বাচন করবেন আপনার ওয়েবসাইটের জন্য, সেই সম্পর্কে একটি কনটেন্ট পাবলিশ করা হবে। আমার সাথেই থাকুন।

আপনি যদি কম দামে ডোমেইন কিনতে চান তাহলে code for host আপনার জন্য।

Hosting কি?

হোস্টিং কি
হোস্টিং হচ্ছে একপ্রকার মেমোরি, যা আপনারা ভাড়া নিয়ে থাকি। চলুন আরেকটু ভিতরে যাই।

মনের করুন, আপনার ফোনে হাজারো ভিডিও, অডিও, পিডীএফ ইত্যাদি নানান ধরনের ফাইল রয়েছে। সেগুলো কোথায় সংরক্ষতি আছে?

নিশ্চয় মেমোরিতে। তাই নয় কি?

এবার আসুন ওয়েবসাইটের ক্ষেত্রে, একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে হলে হাজার হাজার ইমেইজ, টেক্সট, আইকন, পিডিএফ সহ ইত্যাদি নানা ধরনের ফাইলের প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেগুলো কোথায় রাখবেন?

এগুলো ছাড়া কি একটা ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন? কখনোই না। তাই আপনাকে এমন একটি মেমোরি দরকার যেখানে আপনি আপনার সকল গুরুত্বপূর্ন ফাইল গুলো রাখতে পারবেন কোন প্রকার জামেলা ছাড়াই।

কিন্তু এখানে একটা সমস্যা রয়েছে। সেটা হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইট কিন্তু ২৪/৭ দিন লাইভ মানে সচল রাখতে হবে, এমন একটি কম্পিউটারও লাগবে।

এটা তো অনেক বড় সমস্যা, আপনি মেমোরি কিনতে পারবেন, কিন্তু ২৪ ঘণ্টায় সচল থাকে এমন কম্পিউটার তো ক্রয় করা প্রায় অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।

তাদের জন্য একটি সমাধান হচ্ছে, এমন কিছু কোম্পানি রয়েছে, যারা তাদের ২৪ ঘণ্টা সচল কম্পিউটার থেকে কিছু মেমোরি আপনাকে ভাড়া দিবে। বিনিময়ে আপনি তাদেরকে টাকা প্রদান করবেন।

বাহ বিষয় টা দারুণ না?
হ্যাঁ! বিষয়টি এভাবেই কাজ করে, যখন আমাদের হোস্টিং এর প্রয়োজন হয়, তখন আমরা Hosting Service Provider দের কাছ থেকে আমাদের চাহিদা মত হোস্টিং স্পেস ভাড়া নিয়ে থাকি।

হোস্টিং কত প্রকার হয়?
হোস্টিং এর ক্যাটাগরি এবং স্পীডের উপর নির্ভর করে হোস্টিং কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। এখানে আমি বেসিক কিছু ক্যাটাগরি নিয়ে আলোচনা করবো;

শেয়ারড হোস্টিং –

যারা একদম নতুন কাজ শুরু করবেন, বা প্র্যাকটিস করতে চান। তাদের জন্য Shared Hosting পছন্দ করাই উচিৎ। শেয়ারড হোস্টিং বলতে বুঝায়, একটি মেমোরিকে বিভিন্ন জনের কাছে এক সাথে ভাড়া দেওয়া।

এসব হোস্টিং সাধারণত ধীর গতির হয়। কেননা একই সাথে অনেকেই এটি ব্যবহার করে, ফলে মেমোরিতে ট্রাফিকস অনেক বেশী হয়ে থাকে।

সাধারণ কাজের জন্য এসব হোস্টীং ব্যবহার করা যায়। প্রফেশনাল কাজের জন্য এসব হোস্টিং ব্যবহার না করাই উত্তম।

ভিপিএস হোস্টিং –

VPS Hosting এর মানে হচ্ছে ভার্চুয়্যাল প্রাইভেট সার্ভার। আপনি যদি কোন এজেন্সি বা কোম্পনি হয়ে থাকেন, তাহলে আপনার উচিৎ এমন এখনটি সার্ভার ব্যবহার করা যেটি শুধুমাত্র আপনার ওয়েবসাইটের সকল ডাটা সুরক্ষিত এবং সংরক্ষিত থাকবে।

ভিপিএস ব্যবহার করার ফলে আপনি পাবেন সুপার ফাস্ট স্পীড আপনার ওয়েবসাইটের জন্য। ফলে আপনার কোন ক্লাইন্ট বা গ্রাহক ওয়েবসাইটের লোডিং নিয়ে জামেলাই পরবে না।

ডেডিক্যাডেট হোস্ট

এসব হোস্টিং অত্যন্ত দ্রুতগতি সম্পন্ন এবং অনেক বেশি ক্ষমতা সম্পন্ন হয়ে থাকে। মূলত এগুলো সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট, ইত্যাদি অধিক ভিজিটর সমৃধ্য ওয়েবসাইট গুলো ব্যবহার করে থাকে।

যেমন, ফেইসবুক, ইউটিউব, আমাজন, ইভে, আলিবাবা ইত্যাদি অনেক বড় বড় ওয়েবসাইট গুলো এসব ডেডিক্যাডেড হোস্ট ব্যবহার করে থাকেন।

তবে আপনি চাইলে নিজে আপনার ওয়েবসাইটের জন্য এসব হোস্টীং ব্যবহার করতে পারেন, কিন্তু শুধুমাত্র একটি ব্লগিং অথবা সাধারণ ই-কমার্সের জন্য সাধারণ VPS Hosting ব্যবহার করতে পারেন।

এছাড়াও আর অনেক ধরনের হোস্টিং ক্যাটাগরি রয়েছে, যেমনঃ Cloud Hosting, Dedicated Cloud Hosting ইত্যাদি বিভিন্ন হোস্টিং প্রোভাইডাররা নানা ধরনের হোস্টীং প্রদান করে থাকেন।

আমার কথা

আপনি যদি শুরু করার জন্য কোনো হোস্টীং চান, তাহলে শেয়ারড হোস্ট নিতে পারেন। কেননা এগুলো তুলনামূলক সস্তা হয়ে থাকে, ফলে আপনার বাজেটের মধ্যেই আপনি ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন।

এছাড়া আপনি যদি চান একটু ভালো স্পিড হবে, যা আপনার ওয়েবসাইটকে রাঙ্কিং এর ক্ষেত্রে সাহায্য করবে, তাহলে VPS হোস্ট নিন। এটি আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড এবং সার্চ ইঞ্জিনে র‍্যাকিং এর ক্ষেত্রে ভালো ফলাফল নিয়ে আসবে।

আশা করছি এই ব্লগে কিছুটা ধারণা পেয়েছেন।

অপেক্ষা করুন পরবর্তি কন্টেন্টের জন্য। আর কোনো প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই জানাবেন। ধন্যবাদ।

Post a Comment

Previous Post Next Post