সবার জীবনে এমন কিছু সময় আসে, যখন মনে হয় — “আমি কি ঠিক জায়গায় আছি?” চাকরি মানেই শুধু বেতন নয়, বরং আপনার মানসিক শান্তি, ভবিষ্যতের সম্ভাবনা আর ব্যক্তিগত উন্নতির সাথে জড়িত একটি বড় অংশ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ৭টি লক্ষণ, যা বলছে — আপনার চাকরি ছাড়ার সময় হয়তো.
১. অনীহা
প্রতিদিন কাজে যেতে ভয় বা অনীহা লাগেসকালে ঘুম থেকে উঠে অফিসে যেতে ইচ্ছা করে না?শুক্র বা শনিবার সন্ধ্যাই আপনার মুড অফ হয়ে যায়? এই অনুভূতিগুলো যদি নিয়মিত হতে থাকে, বুঝে নিন আপনার ভিতর থেকে কাজটা আর আপনাকে টানছে না।
২. শেখার কিছুই বাকি নেই
একই কাজ, একঘেয়ে রুটিন, নতুন কিছু শেখার বা করার সুযোগ নেই — তাহলে আপনি থেমে গেছেন। আর থেমে যাওয়া মানেই পিছিয়ে পড়া।
৩. মূল্যায়ন বা স্বীকৃতি নেই
আপনি পরিশ্রম করছেন, কিন্তু তার কোন স্বীকৃতি নেই? প্রোমোশন বা প্রশংসা তো দূরের কথা, কেউ আপনার অবদানের কথাও বলে না? এটা বড় একটা রেড ফ্ল্যাগ।
৪. মানসিক চাপ বেড়েই চলেছে
চাকরির চাপে ঘুম হারাম? কাজের চিন্তায় পরিবার, সম্পর্ক বা স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে? তখন চাকরি নয়, এটা বিষে পরিণত হয়েছে।
৫. প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য ও আপনার মূল্যবোধ মেলে না
আপনি হয়তো নৈতিকতা বা পরিবেশবান্ধবতার পক্ষে, কিন্তু প্রতিষ্ঠান চলেছে সম্পূর্ণ উল্টো পথে? তখন কাজটা শুধু চাকরি নয়, এক ধরনের আত্মবিরোধী যুদ্ধে পরিণত হয়।
৬. বেতনের জন্যই আপনি টিকে আছেন
যদি শুধু মাসের শেষে একটা বেতনই আপনার একমাত্র মোটিভেশন হয় — তাহলে আপনার ক্যারিয়ারে আগুন নেই, শুধু ছাই রয়ে গেছে।
৭. আপনি কল্পনাও করতে পারেন না যে এখানেই ৫ বছর থাকবেন
এই প্রশ্নটা নিজেকে করুন — “আমি কি এই অফিসে পরবর্তী ৫ বছর কাটাতে পারবো?” যদি উত্তরটা “না” হয়, তাহলে পরিকল্পনা শুরু করুন।
তাহলে এখন কী করবেন?
✅ নিজেকে প্রস্তুত করুন — স্কিল বাড়ান, সিভি আপডেট করুন
✅ সময় নিন — হুট করে সিদ্ধান্ত নয়, বুদ্ধিমত্তার সাথে
✅ বিকল্প খুঁজুন — প্যাশন ও প্রফেশন একসাথে মিলবে এমন কিছু
জীবনের প্রতিটা সময় আপনাকে শেখায় কিছু না কিছু। কিন্তু নিজেকে হারিয়ে ফেললে, শিখেও লাভ নেই।
সাহস রাখুন — হয়ত নতুন দরজা অপেক্ষা করছে, শুধু আপনিই সেটা খোলেননি এখনো!
Post a Comment