অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে সহজে কিভাবে ইনকাম করবেন?? বিস্তারিত জানুন

✅ অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি?

➡️ বর্তমান সময়ে ফ্রিল্যান্সিং এর অন্যতম জনপ্রিয় একটি সেক্টর হচ্ছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।

আমাদের মাঝে অনেকেরই ডিজিটাল মার্কেটিং, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এসব সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে।কিন্তু পর্যাপ্ত ধারণা এবং জ্ঞানের অভাবে তারা কাজে নামতে পারছেনা।
তাদের জন্যই TricksTalk এর আজকের আলোচনায় থাকছে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 😊

💥 মূলত অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং হচ্ছে একটি কমিশন নির্ভর ব্যবসায়ীক পরিকল্পনা।
যার মাধ্যমে অন্য কোনো কোম্পানির প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি করে আপনি একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন অর্জন করতে পারবেন।

সোজা কথায় এটি এমন একটি বিপণন ব্যবস্থা, যেখানে কোনো ই-কমার্স সাইট বা অ্যাফিলিয়েট নেটওয়ার্কে দ্বিতীয় কোনো মাধ্যম বা ওয়েবসাইটের সূত্রে  কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করা হলে, বিক্রেতা সেই সাইট থেকে লাভের একটি অংশ কমিশন হিসেবে পেয়ে থাকেন। 

🌀 একটি উদাহরণের মাধ্যমে বিষয় টি আলোচনা করা যাক।

    📛ধরুন আপনি ওয়ার্ল্ডের সব থেকে বড় ই-কমার্স সাইট Amazon এর অ্যাফিলিয়েট এ্যাসোসিয়েট। 

আপনি যখন Amazon এর প্রোডাক্ট মার্কেটিং করবেন তখন কেউ যদি সেই প্রোডাক্টটি আপনার দেয়া লিংক এর মাধ্যমে Amazon থেকে ক্রয় করে,
 তাহলে প্রত্যেকটি প্রোডাক্ট বিক্রির উপর Amazon আপনাকে একটি নির্দিষ্ট পরিমান কমিশন দিবে । এটিই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। 🔥

ক্ষেত্র বিশেষে এবং প্রোডাক্টস এর মার্কেট ভ্যালুর উপর কমিশনের পার্সেন্টেজ নির্ভর করে।

Amazon এ সাধারণত প্রোডাক্টের মূল দামের ৬-১০% পর্যন্ত কমিশন দেয়া হয়।

তবে একটু কম প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স সাইট গুলো বেশ ভালো মাত্রার কমিশন দিয়ে থাকে।
অনেকক্ষেত্রে তা ১৫ থেকে ২০% পর্যন্ত ও হয়ে থাকে। 🔥

মানে আপনি যদি ৪০ হাজার টাকার একটি ফোন বিক্রি করে দিতে পারেন এবং আপনার অ্যাফিলিয়েট কমিশন যদি ১০% হয় তাহলে সেই ৪০ হাজার টাকা দামের ফোনের ১০%,
 মানে ৪ হাজার টাকা কমিশন হিসেবে আপনার একাউন্টে যোগ হবে! 😊

এভাবে যতো প্রোডাক্ট আপনার মাধ্যমে বিক্রি হবে তার সবগুলোর কমিশনই আপনি পাবেন।
এক্ষেত্রে প্রোডাক্টের ও কোনো লিমিটেশন নেই।আপনি চাইলে একই সাথে অনেক গুলো সাইটের অনেকগুলো প্রোডাক্ট নিয়েও কাজ করতে পারবেন।

♻️ তবে মার্কেট ভেদে কিছু রুলস রেগুলশনস আছে।

যেমন আপনি যদি Amazon এর affiliate associate হন এবং টানা ৬০দিন কোনো প্রোডাক্টস সেল করতে না পারেন তাহলে আপনার একাউন্ট ডিজাবল করে দেয়া হবে।

আপনার একাউন্টে কোনো ফেইক ইনফো দেয়া থাকলে, যেকোনো সময় ভেরিফিকেশনে আপনার একাউন্ট টি অফ হয়ে যেতে পারে।

তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে ধরুন আপনি কাউকে একটি মোবাইল ফোন কেনার লিংক পাঠালেন, সে লিংক এ প্রবেশ করে মোবাইল টি না কেনার সিদ্ধান্ত নিল। তবে একটি ঘড়ি তার পছন্দ হয়ে গেল। এবং ঘড়িটি সে কিনে ফেলল।
এক্ষেত্রেও আপনি কমিশন পাবেন!

মানে হচ্ছে আপনার পাঠানো লিংক এ যদি পরবর্তী ৪৮ ঘন্টার মধ্যেও সেই ব্যক্তি ঢুকে আপনার রিকমেন্ড করা প্রোডাক্ট ছাড়াও অন্য যেকোনো প্রোডাক্ট কিনে, সেই ক্ষেত্রেও আপনি কমিশন পাবেন! 😁

 ☣️ যদিও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং একটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং পেশা।কারণ এখানে প্রতিযোগীতা যেমন বেশি, মার্কেটিং স্ট্রাটেজি ঠিক করে পরিকল্পনামাফিক আগানোও তেমন কঠিন। কারণ এখানে অত্যধিক পরিশ্রম, সময় এবং ক্ষেত্র বিশেষে বিনিয়োগের ও প্রয়োজন হয়।
 কিন্তু এই পেশায় যদি একবার টিকে যেতে পারেন আর প্যাসিভ ইনকাম গড়ে ফেলতে পারেন তাহলে সফলতা স্রেফ সময়ের ব্যাপার। 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এ কিভাবে আসা যায়, কিভাবে কি কি স্ট্র‍্যাটেজি মেইন্টেইন করে সফল হওয়া যায় এসব কিছু নিয়ে TricksTalk এর পরবর্তী সিরিজে কিছু গুরুত্বপূর্ণ  আলোচনা করার চেষ্টা করব।

সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন।
শুভ কামনা রইল। 😊

Post a Comment

Previous Post Next Post