কন্টেট রাইটিং কি? কেন কন্টেট রাইটিং শেখা দরকার? - বিস্তারিত জানুন

অনলাইনে আপনি যেই পেশাই বা স্কিলই বেছে নিন না কেন কন্টেট মাকেটিং আপনার লাগবেই। 
ফ্রিল্যান্সিং করতে কোন স্কিলটা বেশি দরকার আমদের ? এটা খুব সাধারণ  একটা প্রশ্ন। তাই এটি নিয়ে আজ লিখতে বসেছি। অল্প জানায় আমাদের জানানো। আমি কোন কাজকেই কম গুরুত্বপূর্ণ মনে করি না আর করবও না। আমার কাছে প্রতিটা কাজের মূল্য অপরিসীম।
তবুও আমি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলব, একটা বিশেষ স্কিল যদি আপনার থাকে তাহলে আপনাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। হ্যাঁ আপনি ঠিকই ধরেছেন, সেই বিশেষ স্কিলটা হচ্ছে কনটেন্ট রাইটিং। এই একটা স্কিল দিয়ে আপনি কতভাবে কাজে লাগাতে পারবেন তা চিন্তাও করতে পারবেন না।
ধরুন আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। ওয়েবসাইট থাকলেইতো হবে না, সেটাকে র‍্যাঙ্ক করাতে হবে। র‍্যাঙ্ক করাতে হলে অবশ্যই  যে কাজটি সবার আগে করাতে হয় তা হলো এসইও। আর এসইও এর প্রধান শর্ত হলো সাইটের কনটেন্টকে আগে নিয়ে আসতে হবে। অনেক কন্টেট সাইটে আনতে হবে। গুগল মামা নিজেই বলেন সাইটের র‍্যাঙ্কিং এর জন্য 'Content  is King '। যার কনটেন্ট যত ভালো, যত ভ্যালুয়েবল তার সাইটের মান তত ভালো এবং র‍্যাঙ্কিং এ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।
তাহলে কী বুঝলেন? এসইও জানতে হলে কনটেন্ট রাইটিং পারতে হবে।
এবার আসুন ডিজিটাল মার্কেটিং নিয়ে। আপনি ডিজিটাল মার্কেটার হতে চান। কারণ বর্তমান যুগ ডিজিটাল যুগ। ডিজিটাল মার্কেটিং এর অনেক চাহিদা। সবাই ডিজিটাল মার্কেটিং শিখছেন। সেখানে প্রথম কী কাজটা জানতে হবে? কনটেন্ট তৈরি করা। হলো তো! এখানেও কনটেন্ট রাইটিং এর স্কিলটা লাগছেই।
ওহ, আপনার এত সময় নাই। আপনি অন্য কিছুর পাশাপাশি প্যাসিভ ইনকাম করতে চাচ্ছেন। প্যাসিভ ইনকাম মানে হচ্ছে একটা কিছু থেকে সবসময় আয় করার ব্যবস্থা। বাস্তব জীবনে যেমন আপনার একটা বিল্ডিং আছে যেখান থেকে প্রতি মাসে ভাড়া বাবদ কিছু ইনকাম আসে। অর্থাৎ আপনার একবার ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে সারাজীবন আয় করা। তেমনি ভার্চুয়াল লাইফে এমন কিছু করা। আমরা ভার্চুয়াল জগতে প্যাসিভ ইনকাম বলতে সাধারনত এ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংকে বুঝি।
আপনি অ্যাাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন। যার জন্য আপনাকে একটা ওয়েবসাইট বানাতে হবে, তাকে র‍্যাঙ্ক করাতে হবে। আর ওয়েবসাইটের জন্য আপনাকে অনেক অনেক আর্টিকেল লিখাতে হবে। এই আর্টিকেল্গুলো লিখাতে অনেক টাকা বাজেট রাখতে হবে। অথচ আপনি নিজেই যদি আর্টিকেলটা লিখতে পারেন তাহলে আপনার সাইটের লেখার জন্য বড় বাজেটটা লাগছে না।
আপনি ইমেইল মার্কেটার হতে চান। সেখানেও আপনি কনটেন্ট রাইটিং করতে পারলে আপনার ডিমান্ড দ্বিগুন হয়ে যাবে। আপনি শুধু টেমপ্লেট তৈরি নয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিসেবেও কাজ করতে পারছেন।
এছাড়াও আরো অনেক রকমের রাইটিং এর কাজ আছে। যেগুলোকে কাজে লাগিয়ে আপনি ভালো ইনকাম করতে পারবেন। যা পরবর্তী পর্বে আলোচনা করবো।
একটা স্কিল কিভাবে হাজারো কাজের সাথে জড়িত তা নিশ্চয়ই জেনে গেছেন।

পয়েন্ট আকারে কিছু উপকারীতা বলি কন্টেট মাকেটিং নিয়ে-
১.আপনার সাইট গুগলে আসবে প্রথমে।
২.আপনার পন্য বেশি সেল হবে 
৩.এফিলিয়েট মাকেটিং করতে পারবেন 
৪.নিজের এজেন্সি  দিতে পারবেন
৫ SEO তে বস হয়ে যাবেন 
৬.বিভিন্ন  মাকেটে ফিলান্সার  হিসেবে কাজ করতে পারবেন 
৭.প্যাসিভ ইনকাম করতে পারবেন 

খুব দ্রুতই লিখব কিভাবে আপনি ভালো  মানের কন্টেট রাইটার হতে পারেন 

ফলো করতে পারেন পেজ যেখানে অনলাইন ইনকাম নিয়ে জানতে এবং  শিখতে পারবেন

Post a Comment

Previous Post Next Post