অনলাইনে বিক্রয় বৃদ্ধির ৪টি কার্যকরী কৌশল - 4 Ways to increase sales on the Internet



                       যেকোনো বাণিজ্যের জন্য প্রচারণা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

যত ভালো পণ্য বা সেবা আপনার থাকুক না কেন গ্রাহকরা যদি সেগুলো সম্পর্কে জানতে না  পারে, তাহলে বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে না। 

ইন্টারনেটের সাহায্যে আপনি সহজে গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য বা সেবা গুলো পৌছে দিতে পারেন। তবে তা সঠিকভাবে করার জন্য আপনাকে সঠিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।  


সবচেয়ে সহজ পদ্ধতিটি হলো ফেসবুক পেইড এড ক্যাম্পেইন করা যেতে  পারে।  কমবেশি সবারই জানা উচিত  ফেসবুক সম্পর্কে বিস্তারিত।  এছাড়াও  গুগলের মাধ্যমে গ্রাহক পেতে পারেন। কিন্তু এগুলো ছাড়াও আরও অনেক কার্যকরী কৌশল রয়েছে যেগুলো সম্পর্কে অনেকেই জানে না।



ফলে তাদের বাণিজ্য শুধুমাত্র ফেসবুক নির্ভর হয়ে উঠেছে।  যদি আপনার বাণিজ্য একটি উৎসের উপর নির্ভরশীল থাকে তাহলে আপনি যেকোন সময় বিপদে পড়তে পারেন। 


তাই আপনার উচিত বাণিজ্য প্রসারে একাধিক উৎস তৈরি করা।  আজকের পর্বে আপনারা তেমনই কিছু ভিন্নধর্মী কৌশল বা উৎস সম্পর্কে জানতে পারবেন।


 যে আপনাকে নতুন নতুন গ্রাহক বা কমেন্ট পেতে সাহায্য করবে। এমন প্রতি সপ্তাহে অসাধারণ লেখা প্রকাশ করা হচ্ছে, পরবর্তী লেখাগুলো  সবার আগে পেতে সাবস্ক্রাইব  ইমেল অপশনে মেইল দিয়ে সাথে থাকুন। আর কমেন্ট  করে আপনার মতামত জানান। 


ক্লায়েন্টের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করুন আপনাকে আপনার টাগেটের ক্লায়েন্টকে খুজে বের করা জানতে হবে। 


 আপনি ফেসবুকে কিছু প্রতিষ্ঠান খুঁজে বের করুন এবং তাদের মধ্যে দেখবেন কিছু প্রতিষ্ঠান সঠিকভাবে ফেসবুক ক্যাম্পেইন গুলো চালাতে পারছেনা কিন্ত তাদের অর্থ খরচ করছে কিন্তু অনেক ভুল-ত্রুটি গুলো খুজে পাচ্ছে না আপনি  তাদেরকে ভুলগুলো ধরিয়ে দিয়ে মেসেজ করেন৷ 


তাকে সাহায্য  করুন  কিভাবে করলে আরো ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। অনেকে রিপ্লাই দেবে, আবার দেবে না।  


দেখবেন পরবর্তীতে সেগুলোর মধ্যে কিছু  প্রতিষ্ঠান আপনার  সাথে যোগাযোগ করবে।  তারা ডিজিটাল মার্কেটিং এ আপনার  থেকে আরো কিছু ফ্রি পরামর্শ নিলেও  কিছুদিন পর তারা  তাদের বিজ্ঞাপনগুলো পরিচালনা করার অফার আপনাকেই দেবে।  

আপনি প্রথমদিকেই ইনকামের চিন্তা  করবে না তাদেরকে ভ্যালু দেবেন তারা বুজতে পারবে আপনি তাদের জন্য উপযুক্ত।  

 আপনি  যে একজন অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রতিষ্ঠানগুলোকে সহজেই বোঝাতে হবে।অনেক সময় আপনার কাছে অনেক ভালো দক্ষতা সম্পন্ন থাকতে পারে । 


কিন্তু তার গ্রাহকদের কি ধরনের উপকারে আসতে পারে তা গ্রাহকরা নাও জানতে পারে তাই আপনি যখন ফ্রি স্যাম্পল তাদেরকে অফার করবেন তারা তার উপকারিতা বুঝতে পারবে এবং পরবর্তীতে তা কিনে নেবে।

 এজন্যই লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ছোট-বড় অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য ও সেবার ফ্রী স্যাম্পল অফার করে  থাকে। কারণ তারা জানে একবার যদি গ্রাহক সেবাটি উপকারিতা বুঝতে পারে তাহলে পরবর্তীতে তারা তা কিনে ব্যবহার করবে। 


তাই গ্রাহকরা আপনার কাছে আসলে ভালো  না  সে অপেক্ষায় বসে না থেকে বরং আপনি নিজে তা যোগাযোগ করুন। প্রথমে উপার্জনের কথা চিন্তা না করে মূল্যবান  ভ্যালু দেওয়ার চেষ্টা করুন এতে আপনি যে একজন এক্সপার্ট তা সহজে বোঝাতে পারবেন।


 যা পরবর্তীতে আপনার জন্য অনেকজন ক্লায়েন্ট এর ব্যবস্থা হতে পারে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের ফেইসবুক পেজ বা ওয়েবসাইট রয়েছে যার মাধ্যমে সরাসরি আপনার টার্গেট ক্লায়েন্ট  খুঁজে বের করে যোগাযোগ করতে পারেন। 


এখন  বলব কন্টেট মাকেটিং নিয়ে। দিনে কন্টেট মাকেটিং 

এর চাহিদা অনেক বেশি  জনপ্রিয়  হয়ে যাচ্ছে। আমার পরিচিত একজন অনলাইন  বিউটি  শপিং ওয়েবসাইট  করে ব্যবসা করছে। 



 তাকে বললাম কনটের মার্কেটিং এর গুরুত্ব দিতে তারপর সে তার ই-কমার্স ওয়েবসাইট ব্লগ সেকশন চালু করে সেখানে বিউটি কেয়ার সম্পর্কে বিভিন্ন উপকারী  প্রকাশ করতে শুরু করে এবং  সেই বিষয়ক আর্টিকেল গুলো আপনার ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করতে পারেন। 


ফলে  ওয়েবসাইটে প্রকাশিত লেখা ফেসবুকে শেয়ারের ফলে  অর্গানিক্যালি আপনার ওয়েবসাইটে গ্রাহকরা ভিজিট করতে থাকবে। এবং বিক্রয় বৃদ্ধি পাবে।


তথ্যবহুল  আর্টিকেল প্রকাশ করুন এতে আপনার ব্যবসার  অগ্রগতি  দ্রুত পাবেন। কারন  অনলাইনে প্রচারণার অন্যতম আরেকটি উপায় হচ্ছে এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) আপনার ওয়েবসাইটে গুগল-সার্চে  এসইও করতে হয় কিভাবে করতে হয় তা জানতে  হবে আপনাকে।  


এসইও করার মাধ্যমে ওয়েব সাইটের কনটেন্ট গুলো গুগল সার্চের নিয়ে আসার চেষ্টা করুন এতে গ্রাহকরা ফেসবুকের পাশাপাশি গুগল থেকেও  খুঁজে পাবে ফলে বিজ্ঞাপনে অর্থ খরচ না করে ও নিয়মিত গ্রাহক পেতে থাকবেন।আপনি আপনার ব্যবসায় মাঝেমধ্যে  পন্যের ছাড় দিতে পারেন। 


এতে আপনার পূর্বের গ্রাহকদের থেকে প্রচারণা পাবেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে গ্রাহকরা কোন পণ্য সেবায় ছাড়া পেলে তা নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করে পণ্য ক্রয় আগ্রহী হয়ে ওঠে। এ ছাড়া পন্য  মুল্যছাড়ে পেলে মানুষের মধ্যে একটি বিজয়ের মনোভাব সৃষ্টি হয়।


তাই  প্রতিযোগিতার আয়োজন করুন। মানুষ একে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতা করতে অনেক ভালোবাসে। 

এতে তাদের মধ্যে একধরনেরবিজয় আনন্দ  কাজ করে। আর এই বিশেষ আয়োজন গুলো সহজে ভোলা যায় না। মানুষ কখনোই বিজ্ঞাপন মনে রাখে না কিন্তু এই ধরনের প্রচার পদ্ধতির ফলে গ্রাহকরা আপনার ব্যান্ডকে  ভুলতে পারবে না। 

তবে একটি বিষয় অবশ্যই লক্ষণীয়, প্রতিযোগিতা যেন  খুব কঠিন না হয় যত সহজ হবে ততো বেশি মানুষ অংশগ্রহণ করবে। 

ধরুন আপনার একটি রেস্টুরেন্ট রয়েছে যেখানে বার্গার পিজা অফার করছেন আপনার পেইজে গ্রাহকদের খাবার সম্পর্কিত একটি সহজ প্রশ্ন করতে পারেন। 


বিভিন্ন বিশেষ দিন উপলক্ষে সেই বিষয়ক সাধারণ প্রশ্ন করতে পারেন এদের অনেকেই সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি তাদের বন্ধুদের অংশগ্রহণের আমন্ত্রণ করবে। সবার মধ্যে  থেকে কিছু মানুষকে ফ্রি বার্গার অফার করতে পারেন।


 এতে আপনার ব্যান্ড গ্রাহকদের মাঝে আলোচনা ও এঙ্গেজমেন্ট সৃষ্টি করবে।ফলে আপনি লাভবান  হবেন বেশি বিক্রি করা মাধ্যমে। 




এফিলিয়েট মার্কেটিং করার ব্যবস্থা করুন। যদি আপনার ব্যান্ডের মাধ্যমে অন্য মানুষ  অর্থ উপার্জন করতে পারে। তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানটি অনেক দ্রুত বেড়ে উঠবে।


                     আরও জানুন -এফিলিয়েট মার্কেটিং এর বিস্তারিত জানুন

 এফিলিয়েট অপশন যুক্ত  করার  মাধ্যমে আপনি যদি  অন্যকে ইমকামের সুযোগ এবং  নিজের ব্যবসাকেও উন্নয়ন  করাতে পারবেন। ধরুন আপনি প্রতিদিন ১০ টা পন্য সেল করেন। 


এখন আপনার সাথে এফিলিয়েট  হিসবে ১০০ জন কাজ করে যদি  তারা প্রতিদিন  ১০ টা  পন্য সেল করে তবে আপনার সেলের পরিমান (১০০*১০)  হয়ে যাবে । 



তাছাড়া ইনকামের  সুযোগ থাকায় আপনার প্রতিষ্ঠান তারাই  প্রচার করবে। তাদেরকে মাসের মাসের সম্মানি দেয়ার প্রয়োজন হবে না। আপনি আগে যেখানে প্রতিদিন মাত্র 100 বার বিক্রি করতেন সেখানে পাটনার  নেয়ার পর প্রতিদিন 1000 বিক্রয় হচ্ছে। 


যেকোনো পণ্যের ক্ষেত্রে পার্টনার নেয়া যেতে পারে যদি আপনি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে থাকেন তাহলে সহজেই প্রোগ্রামটি ব্যবহার করতে পারেন।


 মানুষ আপনার ওয়েবসাইটের অ্যাফিলিয়েট  হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে পারবে এবং তারা কি পরিমান বিক্রয় করে অর্থ উপার্জন হচ্ছে তার নিজেরাই দেখতে পারবে ম্যানেজমেন্ট করার জন্য একটা  জনপ্রিয়  প্লাগিন আপনাকে ব্যবহার  করতে হবে.।


এই প্লাগিনে প্রয়োজনের  সবই অপশন দেয়া রয়েছে। প্লাগিনটি হল - Ultimate affiliate pro. এই প্লাগিন  সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানতে কমেন্ট করুন।


 গবেষণায় দেখা গিয়েছে  মানুষ  ভিডিও কনটেন্ট এর সাথে যুক্ত থাকতে বেশি পছন্দ করে। ভিডিও মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে আপনার গ্রাহকের অভাব হবেনা। 


তাই আপনার পণ্য-সেবা অথবা গ্রাহকদের উপকার আসতে পারে এমন সব তথ্য দিয়ে ভিডিও তৈরি করতে পারেন সেগুলো সামাজিক যোগাযোগ  মাধ্যমে প্রকাশ করে লাখ লাখ  গ্রাহকের কাছে আপনার ব্যান্ড পৌঁছে দিতে  পারবেন। 


সহজে ভিডিও বানাতে পারেন ক্যানভা দিয়ে । ক্যানভা নিয়ে আগে আমার একটা লেখা প্রকাশ করা     হয়েছে -   ক্যানভা নিয়ে যত সমাধান পড়ে ফেলুন


অসাধারণ  কৌশল সম্পর্কে জানতে সাথে যুক্ত থাকুন। আর অবশ্যই  মতামত জানান কমেন্টে।

ধ্নন্যবাদ পড়ার জন্য 

Post a Comment

Previous Post Next Post