ওয়েবওয়েবসাইট রেংকিং এনে দিতে রেংক ট্রেকার বেস্ট টুলস!

রেংক ট্রেকার কি নিস সাইট রেংকে পজেটিভ ভূমিকা রাখে? কীভাবে?
সার্পওয়াচ ডিল শেষ হয়ে যাওয়ায় যারা আফসোস করছিলেন তাদের জন্য চমৎকার একটি লাইফটাইম ডিল অফার।



যখন একটা নিস সাইট নিয়ে কাজ শুরু করা হয়, তখন সবচেয়ে বড় যে ভয়গুলো কাজ করে, সেগুলো হচ্ছে খুবই কমন। যেমন- আমার সব কাজ ঠিক আছে তো? গুগলের চোখে কোনো নেগেটিভ কিছু নেইতো আমার সাইট নিয়ে? কীওয়ার্ড কি রেংক করা শুরু হয়েছে? গতদিনের চেয়ে কি আজকে আপ হয়েছে কীওয়ার্ড পজিশন?

এরকম বেশ কিছু বিষয় জানার জন্য অনেক জটিলতা করতে হয়। রেংক ট্রেকারগুলো এই সমস্যাটার সমাধান করে দেয়। আর সেই রেংক ট্রেকার যদি হয় আসলেই রেংকট্রেকার, তাহলেতো কথাই নেই। কেন? বলতে যাচ্ছি এখানে। তবে শুরুতে রেংকট্রেকার টুল ডিলটা এক নজর দেখে নেয়া যাক।

বিস্তারিত ও রেফারেল লিংক: https://appsumo.8odi.net/0JdkoM

কেন রেংক ট্রেকার দরকার?
রেংক ট্রেকার দরকার। কেন দরকার? করণ রেংক ট্রেকার কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। বিশেষ করে যেসব রেংক ট্রেকার প্রতিদিন আপডেট দেয়, সেসব রেংক ট্রেকার দিয়ে সাইটের কীয়ার্ডগুলো যদি ট্র্যাক করেন, তাহলে দেখবেন আপনি নিজেই নিজেকে মোটিভেট করতে পারছেন প্রতিনিয়ত।

আপ হয়েছে কীওয়ার্ড?
কেন আপ হলো? খোঁজ নিন। এভাবে অন্য কীওয়ার্ডগুলোর জন্যও কাজ করুন।

ডাউন হয়েছে কীওয়ার্ড?
কেন ডাউন হলো? কারণটা খুঁজে নিয়ে সেসব কারণ থেকে দূরে থাকুন।

এভাবে যদি মনিটর করতে পারেন, তাহলে দেখবেন অল্প দিনের মধ্যেই আপনার নিস সাইট একটা ভালো পজিশনে আপ হয়েছে। এসব কারণে নিস সাইট এবং রেংক ট্রেকার ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। নিস সাইট বানিয়েই সবাই রেংক ট্রেকারে কীওয়ার্ড দিয়ে পজিশন ট্র্যাক করতে শুরু করেন।

RankTracker রিভিউ
কয়েক দিন আগে একটা রেংক ট্রেকার নিয়ে লিখেছিলাম। সার্পওয়াচ। একদম শেষ বেলায় এসে। মানে ডিলটা শেষ হওয়ার দুদিন আগে। তারপর যা হবার তা-ই হলো। সময়মতো অনেকেই কিনতে পারেন নি। কয়েকজন ইনবক্সে নক দিয়েও রিকুয়েস্ট করেছেন যেন পরবর্তীতে রেংক ট্রেকারের কোনো অফার আসলে সেটা জানাই।

কিন্তু ব্যাপার হলো, রেংক ট্রেকার হলেই তো হবে না, সেটা ট্রাস্টেড হতে হবে। এই দিকগুলো বিবেচনা করেই আজকের রিভিউ। ঠিক রিভিউও না, প্রোডাক্ট পরিচিতি বলা চলে।

গতকাল মাত্র লঞ্চ হয়েছে রেংকট্রেকারটা। আর সাথে সাথেই কিনে ফেলেছি। কেন এই দ্রুত সিদ্ধান্ত? কারণ এক কথায় বলতে গেলে, প্রোডাক্টটা বেশ ভালো। ডাটা দেয় একিউরেট। আগে থেকেই জানা ছিলো এই ব্রান্ড সম্পর্কে। সুতরাং সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হয়নি।

তবে আরও কিছু বিষয় আছে। মূলত এই রেংকট্রেকার কেবল কীয়ার্ডের পজিশন-ই নির্ণয় করে না। আরও মজার কিছু বিষয় এই টুল দিয়ে করতে পারবেন। চলুন সেসবও জানা যাক সংক্ষেপে:-

RankTracker এবং অন্যান্য...
বলতে ভালো লাগছে, রেংকট্রেকার দিয়ে আপনি স্বচ্ছন্দে কীওয়ার্ড রিসার্চের কাজ করতে পারবেন। সার্চ ভলিউম এবং অন্যান্য ডাটা অসাধারণ রকমের একিউরেট। আমি বিষয়টা দেখে একদম অবাক হয়ে গেছি।

শুধুই কি তাই? না। তাহলে?

তাহলে আপনি আরও কিছু কাজ করতে পারবেন। যেমন সাইটের অনপেজ টেকনিক্যাল ইস্যুগুলো অডিট করতে পারবেন এবং সেই সাথে কীভাবে ফিক্স করতে পারবেন সেই তথ্যও পাবেন এই টুলের মাধ্যমে।

স্ক্রিনশটে দেখুন ফিচারগুলো: http://prntscr.com/1rjnoyp

কীওয়ার্ড ফাইন্ডার: এই ফিচারের সাহায্যে আপনি চমৎকার সব কীওয়ার্ড খুঁজে বের করতে পারবেন। কিংবা একটা নির্দিষ্ট নিস সাইটের কীওয়ার্ডগুলোর বিস্তারিত জানতে পারবেন সার্চ ভলিউম, কীওয়ার্ড ডিফিকাল্টি, পজিশন, কোন আর্টিকেলে রেংক করেছে, সিপিসি... ইত্যাদি সব।

SERP Checker: এই ফিচারের সাহায্যে একটা নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড কেন রেংক করেছে, কে কে রেংক করেছে, কীভাবে রেংক করেছে এভরিথিং জানতে পারবেন। এমনকি ডিএপিএ, টিএফ, আরডি, সোশ্যাল শেয়ার সংখ্যা... সব তথ্য এক নজরে চোখের সামনে চলে আসবে। আমার কাছে খুবই চমৎকার মনে হয়েছে ফিচারটা।

SEO Checklist: সাইটের অনপেজ টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে বিশদ জেনে সেই অনুযায়ী ফিক্স করতে পারবেন।

আরও কিছু ফিচার আছে যেগুলো এখান থেকে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন: 

অর্থাৎ সবমিলে আমার কাছে মনে হয়েছে, নিস সাইট অউনারদের জন্য চমৎকার একটা টুল।

মূল্য কত?
ডেইলি ১০০ কীওয়ার্ড ট্র্যাক করার জন্য ৪৯ ডলার। জ্বি, এটা লাইফটাইম। ২০০ কীওয়ার্ড হলে ৯৯ ডলার। ৫০০ কীওয়ার্ড ১৯৯ ডলার। আর ১০০০ কীওয়ার্ড ২৯৯ ডলার। আমি টেস্ট পারপাসে ১০০ কীওয়ার্ডেরটা নিয়েছি। আপগ্রেড করে লাইসেন্স টায়ার-৩ বা ৪ নেবো।

কেন?

সেটা নেগেটিভ অংশে লিখবো। তবে কেউ যদি License Tier 3 কিনতে চান, তাহলে ১৯৯ ডলার থেকে ডিসকাউন্ট করে ১৩০ ডলারে কিনে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পারবো। প্রয়োজন হলে ইনবক্স করতে হবে। তবে আপনার অবশ্যই পেওনিয়ার মাস্টারকার্ড বা ডুয়াল কারেন্সি ক্রেডিট কার্ড থাকতে হবে। পেপালে হবে না।

অন্যান্য ফিচারগুলো সব প্যাকেজের জন্যই সমান।

নেগেটিভ দিক:
৪৯ ডলারের প্যাকেজ দিয়ে ১০০টা কীওয়ার্ড ট্র্যাক করার কথা বলা হলেও মূলত সেটা ৫০টা হয়ে যাবে যদি আপনি ডেস্কটপ এবং মোবাইল দুই জায়গাতেই করেন। ২৫টা হয়ে যাবে যদি সেইম কীওয়ার্ড গুগল এবং বিং সার্চ ইঞ্জিনের ডেস্কটপ এবং মোবাইল দুই স্থানেই টিক চিহ্ন দেন।

এই স্ক্রিনশটটা দেখুন: http://prntscr.com/1rjoy73

একই কীওয়ার্ড ৪বার দেখাচ্ছে ৪ জায়গায় টিক মার্ক দেয়াতে।

কিন্তু ব্যাপার হলো সব রেংকট্রেকারেই এই ব্যাপারটা আছে। তাই এটাকে ঠিক নেগেটিভ বললেও, আসলে তা নয়।

ওভারঅল কথা:
কেনার আগে অবশ্যই ভালো করে দেখে নেবেন যে এটা আপনার জন কিনা। যদি মনে হয়ে যে টুলটা আপনার জন্য দরকারি, তাহলেই কেবল কিনবেন। আর কেনার পর যদি মনে হয়, ধুৎ, এটা আবার কী? অযথা! তাহলেও সমস্যা নেই। ৫৯ দিন ধুমসে ব্যবহার করার পর ৬০ দিনের দিন রিফান্ড নিতে পারেন কোনোরকম কারণ দর্শানো ছাড়াই। সুতরাং নিশ্চিন্তে কিনতে পারেন।

তবে আমার দৃষ্টিতে টুলটা রিফান্ড করার সুযোগ নেই। মানে আপনি রিফান্ড করবেন না। ইউজার ইন্টারফেসের সাথে সাথে ফিচারগুলোও জোস। কিছুক্ষণ ইউজ করার পরেই এটার প্রেমে পড়ে যাবেন।

তো অল দ্য বেস্ট।
Tool: https://appsumo.8odi.net/0JdkoM

Post a Comment

Previous Post Next Post