কিভাবে ওজন কমাবেন নতুন ও সম্পন্ন পথযাএা

ওজন কমানোর উদ্দেশ্যে নতুন যারা শুরু করতে চাচ্ছেন, লিখাটি তাদের জন্য।

"বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর" কথাটি অনেকের কাছে গ্রহন যোগ্যতা না পেলেও, যখন বিশ্বাসটি বৈজ্ঞানিক ভাবে প্রমাণিত এবং অনেক মানুষ কর্তৃক পরীক্ষিত। তখন কিন্তু আর বিশ্বাসটি অবিশ্বাসের জায়গায় বসে থাকে না, বা তার গ্রহনযোগ্যতা নিয়েও কোন প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকেনা।

কথা বলছিলাম ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির স্যারের দেওয়া ডায়েট প্রসঙ্গ নিয়ে। আপনারা হয়তো নানা জনের মুখ থেকে বা স্যারের ভিডিও গুলো দেখে বুঝতে পারছেন ডায়াবেটিস রোগী, ওষুধ ছাড়াই ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখছেন এবং মোটা বা স্থুল মানুষগুলো খুব অল্প দিনেই শরীরের স্থূলতা কমিয়ে সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হয়ে উঠেছেন, কিন্তু আপনারা অনেকেই ডায়েটে যেতে বা শুরু করতে ভয় পাচ্ছেন, তার একটাই কারণ আপনাদের মস্তিষ্কের একটি বদ্ধমূল ধারণা, আর সেটা হলো, জন্মের দুই তিন বছর পর থেকেই যেখানে আমাদের খাদ্যাভ্যাস গড়ে উঠেছে ভাত, রুটি, মাছ, মাংসের উপর সেখানে ভাত রুটি বিহীন জীবন যাপন যেন পাগলের প্রলাপ। কিন্তু এই বদ্ধমূল ধারণা বা ঐতিহ্য, স্যারের পরামর্শে কিছু মানুষ যখন কাঁচের টুকরোর মতো ভেঙে টুকরো টুকরো করে দেয় তখন হয়তো আপনাদের মনে বিশ্বাস প্রতিস্থাপন হয়। আর তাদের জন্যই আমার এই লেখা।



প্রতিজ্ঞা, ধৈর্য্য, এবং সহনশীলতা, এই তিনটা জিনিস আপনাকে ডায়েট শুরু করার আগে নিজের অনুকূলে আনতে হবে।

প্রতিজ্ঞা হলো সেই বিষয়টা, আপনার এমন একটা মনোভাব থাকতে হবে, আমাকে পারতেই হবে। দশজনে যেটা পারছে সেটা আমি কেন পারবো না?

প্রতিটি বিষয়ে কিছু ধৈর্য্যের প্রয়োজন হয়। হুট করেই আপনার এক দিনে দশ কেজি ওজন কমে যাবে না বা এক দিনেই দশ বছরের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে আসবে না। এর জন্য আপনাকে ধৈর্য্য ধরতে হবে, অনুশীলন করতে হবে এবং নিম্নলিখিত বিষয়গুলো মানতে হবে।

আর সহনশীলতা হলো সেটাই। আপনার পরিবার, পরিজন, বন্ধু বান্ধব বা সমাজের মানুষগুলোর কাছ থেকে প্রাথমিক ভাবে তিরস্কার বা অনীহা আসবে আর সেটা হাসি মুখে গ্রাহ্য করাটাই সহনশীলতা। অনেক জনে অনেক কথা বলবে সেগুলোকে এড়িয়ে চলাটাই বুদ্ধিমানের কাজ, কিন্তু আপনি যখন সফল হবেন তখন আপনিই হবেন তাদের কাছে আইডল। সবাই তখন আপনার কাছে পরামর্শের জন্য লাইন ধরবে।

তো কথা না বাড়িয়ে কিভাবে ডায়েট শুরু করবেন তা বিস্তারিত বর্ণনা করা যাক। আশা করি বিষয় গুলো মনযোগ দিয়ে পড়বেন এবং মানার চেষ্টা করবেন। যা কিছু উল্লেখ করছি তা সম্পূর্ণটাই ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির স্যারের বিভিন্ন ভিডিও এবং রোগীদের সাক্ষাৎকার থেকে নেওয়া।
.
#আপাতত_মোটেও_খাওয়া_যাবে_না,
চালের তৈরি সব কিছু (ভাত, চাউলের রুটি, চাল দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি)
গমের তৈরি সব কিছু (রুটি, পাওরুটি, বিস্কুট যে কোন প্রকার, গম দিয়ে বানানো অন্যান্য দ্রবাদি)
কোন প্রকার ডাল খাওয়া যাবে না
আলু, মিষ্টি আলু, গাছ আলু বা আলু সাদৃশ্য অন্যান্য আলু, যা শর্করা জাতীয় সবজি যেমনঃ মূলা।
এছাড়া খাওয়া যাবে না

চিনি এবং চিনি দিয়ে বানানো দ্রব্যাদি পৃথিবীতে যা কিছু আছে।
দই, টক দই, দুধ এবং সরাসরি দুধ দিয়ে বানানো দ্রবাদি।
মধু, এবং মিষ্টি ফলমূল খাওয়া যাবে না। (কেন খাওয়া যাবেনা সেটা পরে ব্যাখ্যা করছি।
সয়াবিন তৈল, সূর্য মুখী তেল, রাইস ব্যান ওয়েন, ক্যানোলা ওয়েল, এবং সাধারণ কোন তেলে রান্না করা কিছু খাওয়া যাবে না

ফ্রার্মের মুরগি, যে মুরগী গুলো টেনারির বর্জ্য থেকে উৎপাদিত খাদ্য খাওয়ানো হয় সয়া খাওয়ানো হয়। গরুর মাংস, যে গরু বা ষাঁড় গুলো ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে মোটা তাজা করা হয়। খাসিও সেম।
#যা_খাওয়া_যাবে_বা_খেতে_বাঁধা_নেই
সবুজ শাক, সবজি (গাজর, মিষ্টি কুমড়া [কচি সবুজ] খেলে অল্প পরিমাণ)
টক জাতীয় ফল। যেমনঃ জলপাই, আমলকী, একটি কচি ডাবের পানি।

মাছ, যে কোন প্রকার খেতে পারবেন, তবে তৈলাক্ত দেশীয় মাছের ভেতর পাঙ্গাশ, বোয়াল, ইলিশ সরপুঁটি, ব্রীগেড, গ্রাসকার্প, বাইম (তৈলাক্ত বা সাগরের মাছ হলে আরো ভালো)
গরু এবং খাসির মাংস খাওয়া যাবে তবে যে গরু বা খাসি গুলো ইঞ্জেকশন মুক্ত এবং ঘাস, লতা পাতা বা খড় কুটো খেয়ে লালিত পালিত (বেশি পরিমাণে খাওয়া যাবে না) এছাড়া
গরু, বা খাসির পায়া খাওয়া যাবে। যেটা খাওয়া এই সময়ে খুবই উপকারী এটাও অল্প পরিমানে খেতে হবে।

মুরগির ডিম (ফার্ম হলে সমস্যা নেই তবে ওমেগা ৩ বা দেশী মুরগী বা হাস হলে বেশী ভালো) মাছের ডিমও খেতে চেষ্টা করবেন যথা সম্ভব।
ঘি, অর্গানিক বাটার, এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভয়েল, MCT ওয়েল, অর্গানিক Extra virgin cold pressed কোকোনাট ওয়েল (এগুলো সব ভাল শপে পাওয়া যায়) তবে নিজে তৈরী করাটাই শ্রেয়।
বাদাম যে কোন প্রকার। চিনাবাদাম, কাজুবাদাম, পেস্তা বাদাম, অন্যান্য বাদাম যা আছে চাইলে বাদাম ব্লেন্ড করে সাথে উপরে উল্লেখিত নারকেল তেল দিয়ে বানাতে পারেন পিনাট বাটার যেটা খেতে তুলনাহীন তবে খাবেন অল্প।

রং চা বা কফি দুধ চিনি ছাড়া। সবুজ চায়ের সাথে লেবু, আদা, সামান্য লবন মেশাতে পারেন। কফির সাথে, MCT ওয়েল, মাখন বা ঘি, এবং অর্গানিক কোকোনাট অয়েল মিশিয়ে বাটার কফি বানিয়ে খেতে পারেন, এতে ভালো কাজ হবে।
#কিভাবে_ডায়েট_শুরু_করবেন
#সকালের_নাস্তা
----------------------
যাদের সকালে খাওয়ার অভ্যাস তারা আটটা বা সাড়ে আটটার দিকে দুধ চিনি ছাড়া এক কাপ চা, আদা, লেবু সামান্য লবন দেওয়া যেতে পারে আপেল সিডার বা কোকনাট ভিনেগার খেতে পারেন কুসুম গরম পানির সাথে এবং কুসুম গরম পানির সাথে লেবু চিপে খেতে পারেন। এছাড়া যাদের দেরিতে নাস্তা খাওয়ার অভ্যাস তারা এগারোটার দিকে নাস্তা করবেন এবং দুপুরের খাবার আড়াইটা তিনটায় খাবেন। আর সকাল আটটায় নাস্তা খেলে দেড়টার ভেতর দুপুরের খাবার খেতে হবে।
#দুপুরের_খাবার
---------------------
দুপুরের খাওয়ার আগে অবশ্যই আপেল সিডার ভিনেগার এক চামচ এক গ্লাস পানির সাথে মিশিয়ে খাবেন। এতে আপনার গ্যাসের সমস্যা হবে না এবং চর্বি কাটতে সাহায্য করবে। শাক, সবজি অবশ্যই এক্সট্রা ভার্জিন ওলিভয়েল দিয়ে রান্না করবেন এবং মাছ ভাজলে (ডীপ ফ্রাই থেকে বিরত থাকবেন এতে খাদ্যগুন নস্ট হয়) বা রান্না করলে এই তেল দিয়েই করবেন। সবজি যতটুকু সম্ভব কম সেদ্ধ করবেন।

 যেন সবজির গুণগত মান ঠিক থাকে। ডিম কুসুম সহ ঘি বা মাখন দিয়ে ভেজে খাবেন। বয়স ও শারীরিক এক্টিভিটি কতটুকু করছেন বিবেচনায় রেখে এক দিনে সর্বোচ্চ ৪-৬ টি ডিম কুসুম সহ খেতে পারবেন কোন সমস্যা নেই। কারণ ডিম প্রোটিন এবং ভালো ফ্যাটের উৎস তবে একবার ফ্যাট এ্যাডাপটেশন হয়ে গেলে চাইলেও এত খেতে পারবেন না। দেশি মুরগি খেতে পারেন, এক দুই টুকরো অথবা উল্লিখিত গরুর মাংস । মাছ খেলে মাংস খাবেন না। মাংস খেলে মাছ খাবেন না। এছাড়া প্রবাসীরা ফার্মের মুরগি এক টুকরো করে খেতে পারেন, কারণ আমার জানা মতে সেখানে ফার্মের মুরগিকে আদর্শ খাবার খাওয়ানো হয় (যদিও মুরগী ব্যায়াম করে না যেটা দেশী মুরগী করে )। 
দুম্বা, উট, ভেড়ার, মাংস খেলে এক টুকরোর বেশি নয়। দুপুরের ম্যানুতে, শাক, সবজি মাছ অথবা মাংস , ঘি এ ভাজা ডিম, ঘি'য়ে ভাজা বাদাম সাথে বাটার রাখতে পারেন এবং অবশ্যই শসা বা শসার সালাদ রাখবেন টমেটো। গাজরও খেতে পারেন তবে পরিমাণে খুবই অল্প।
বিকেলে ক্ষুধা লাগলে উপরে উল্লেখিত চা, বাটার কফি এবং বাদাম, চিয়া সিডস খাবেন।

#রাতের_খাবার

রাতের খাবারের পূর্বেও ভিনেগার মিশ্রিত এক গ্লাস পানি খেয়ে নিবেন এবং রাতের খাবার দুপুরের অনুরূপ খাবেন। আইটেম দুই একটা কম বেশি হোক কোন সমস্যা নেই। রাত আটটার আগেই সমস্ত খাবার শেষ করুন। এরপর আর পানি ছাড়া কিছুই খাবেন না।
প্রয়োজনীয় উল্লেখযোগ্যতা বিষয়
-----------------------------------------------
ফ্যাট অ্যাডাপটেশন কিভাবে শুরু করবেন?


উপরে উল্লিখিত খাবারের বাইরে ডায়েট অবস্থায় আর অন্য কোন কিছুই খাবেন না। এখন বলছি উৎকৃষ্ট খাবার মধু এবং মিষ্টি ফল কেন খাওয়া যাবেনা। মধু এবং মিষ্টি ফলে আছে চিনি যা শর্করা হিসাবে আমাদের শরীর তা গ্রহন করে। আপনি যখন ডায়েট শুরু করবেন তখন শর্করা জাতীয় খাদ্য না খাওয়ায় শরীরে শর্করার ঘাটতি দেখা দিবে তখন শরীর গ্লাইকোজেন পোড়াবে এরপর গ্লাইকোজ্ন শেষ হয়ে গেলে কিন্তু আমাদের শরীর তার নিজেস্ব প্রক্রিয়ায় শরীরে জমে থাকা চর্বি গলিয়ে সেখান থেকে শক্তি গ্রহন করবে। কই'য়ের তেল দিয়ে কই ভাজার মতো। একেই বলে ফ্যাট এ্যাডাপটেশন। 

এখন যদি আপনি মধু, মিষ্টি ফল, চিনি জাতীয় শর্করা খাবার খান তবে আপনার শরীর ফ্যাট বার্নিং না করে এখান থেকেই তার প্রয়োজনীয় শক্তি গ্রহণ করবে। যার ফলশ্রুতিতে আপনার ফ্যাট বার্নিংও হবে না এবং আপনার স্বাস্থ্য এবং ডায়াবেটিসও কন্ট্রোলে থাকবে না। এ কারণেই ডায়েট অবস্থায় সমস্ত প্রকার শর্করা, মধু , মিষ্টি ফল চিনি খেতে নিষেধ করা হয়। একটা মিষ্টি খাবেন, দুই তিনটা মিষ্টি ফল খাবেন, এক চামচ চিনি বা মধু খাবেন, এক বেলা ভাত বা রুটি খাবে, আপনার শরীর ৪৮ ঘন্টার জন্য ফ্যাট বার্নিং বন্ধ করে দিবে।
যে বিষয় গুলো মানতে হবে এবং করতে হবে
-------------------------------------------------------
রাত দশটা, এগারোটার ভেতর আপনাকে ঘুমিয়ে যেতে হবে কারণ রাত দশটা থেকে দুইটার ভেতর আমাদের শরীরে গ্রোথ হরমন নি:সরন হয় এবং এই গ্রোথ হরমোনগুলো ফ্যাট বার্নিং এ প্রচুর সহায়তা করে। আপনি যদি এই প্রাকৃতিক বিষয়টি অগ্রাহ্য করেন তবে আপনার ডায়েট অসম্পূর্ণ থেকে যাবে এবং ভাল ফল পেতে ব্যর্থ হবেন। তারপর খুব সকালে উঠবেন, নামাজ পড়ে (মুসলমানেরা) হাঁটতে বের হবেন। হাঁটার গতি নির্ভর করবে আপনার বয়স অনুসারে। বয়স যদি চল্লিশের উর্ধ্বে হয় স্বাভাবিক গতিতে হাঁটুন ৪০/৬০ মিনিট। বয়স যদি চল্লিশের নিচে হয় তবে জগিং করুন নয়তো জোরে জোরে হাঁটুন ৪০/৬০ মিনিট। তবে খেয়াল রাখবেন হাঁটতে হাঁটতে যেন হাঁপিয়ে না যান বা শ্বাস কষ্ট না হয়। যতটুকু হাঁটুন বা ব্যায়াম করুন শরীরের সাথে মানিয়ে করুন।

 দ্রুত মেদ ভুরি কমানোর জন্য ইয়োগা করতে পারেন ( ইয়োগা করার পদ্ধতি YouTube এ দেখে নিন)
উপরে লিখিত পদ্ধতিতে সাত থেকে আট দিন নিয়ম করে চলুন। এই সময়টায় আপনার শরীর ফ্যাট বার্নিং বা চর্বি গলাতে শিখে যাবে তারপর শুরু করুন শুধু সেহরীতে পানি খেয়ে রোজা রাখা, স্বাভাবিক রোজার মতো দিনে পানি এবং সমস্ত কিছু খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ইফতার করবেন বাদাম সাথে মাখন এবং শসা দিয়ে সাথে টক ফল রাখতে পারেন। মনে রাখবেন বাদাম ঘি অথবা মাখন দিয়ে ভেজে খাবেন না। তাতে বাদাম, ঘি, মাখন কোনোটারই গুনাগুন থাকবে না। 
ভিনিগার মিশ্রিত পানি খেয়ে রাতের খাবার উপরে উল্লিখিত অনুরূপ খাবেন এবং অবশ্যই আটটার আগে সমস্ত খাবার শেষ করুন। বেশী ভালো ফল পেতে ইফতারের এক ঘন্টার ভেতর খাবার শেষ করুন এরপর পানি খেতে থাকুন।
রোজা রাখা শুরু করলে বসা থেকে দাঁড়ালে মাথা সামান্য ঘুরতে পারে, সেক্ষেত্রে সামান্য লবন মিশ্রিত পানি খাবেন প্রতিদিন এছাড়া এর জন্য ডাবের পানি খেতে পারেন প্রতিদিন একটি কচি ডাব খাওয়া খুবই জরুরী। একটানা যতগুলো ফাস্টিং (রোজা) করতে পারবেন আপনি তত দ্রুত ফল পেতে থাকবেন। (তবে ৭ দিন পর দুইদিন রোজা রাখবেন না ঐ দুইদিনও চেস্টা করবেন চার ঘন্টার ভেতর খাবার খেয়ে শেষ করতে ) রোজা রাখলে আপনার শরীরে অটোফেজি শুরু হবে। অটোফেজি হলো, এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে শরীর তার খারাপ কোষকে খেয়ে ফেলে এবং সেখান থেকে নতুন কোষের সৃষ্টি করে। বসন্তের নতুন পাতা গজানোর মত; এতে দেখা যাবে আপনি নতুন করে জন্মগ্রহণ করছেন এবং আপনি আপনার হারানো তারুণ্য ফিরে পাচ্ছেন।

কিছুদিনের ভেতর খেয়াল করবেন আপনার ক্ষুধা কমে গেছে । যারা বারবার খেতেন বা খেতে বাধ্য হতেন তাদেরও খেতে ইচ্ছে হচ্ছে না এর কারণ হলো আপনার শরীরে যে প্রচুর জমাকৃত চর্বি, সেখান থেকেই দেহ তার সমস্ত চাহিদা পূরণ করে নিচ্ছে তাই আর বাড়তি খাবারের প্রয়োজন অনুভব হচ্ছে না। সেটা এক অন্যরকম অনুভূতি। আপনি না খেয়েও বেশ শক্তিশালী হচ্ছেন আগে যেখানে খাবার খেয়েও দুর্বল হতেন ।এই অনুভুতি বলে বোঝানোর মত না।

আর যদি এক টানা রোজা না রাখতে পারেন তবে সপ্তাহে অন্তত দুইটা করে রোজা রাখুন এবং নিয়মিত হাঁটুন এবং ব্যায়াম করুন। আশা করা যায় দেড়, দুই মাসের ভেতরেই আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেছেন। তবে অন্যদিনগুলোতে দুইবেলা খাবেন চার ঘন্টার ব্যাবধানে বাকী সময় ওয়াটার ফাস্টিং করবেন অর্থাৎ গ্রীন টি ভিনেগার লেবু সবুজ চা এগুলো খেয়ে খেয়ে বিশ ঘন্টা।

এছাড়া যারা ডায়াবেটিস এর রোগী আছেন তারা উল্লেখিত নিয়মাবলী মেনে চলে তাদের ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারেন তবে ডায়েট শুরু করার আগে ডায়াবেটিস এর সমস্ত ওষুধ এবং ইনসুলিন বন্ধ করে দিতে হবে। তাদের ক্ষেত্রে টানা রোজা না রাখলেও চলবে। ডায়াবেটিস এর খুব বেশি জটিল রোগী হলে স্যারের পরামর্শ নিয়ে তারপর শুরু করুন। যাই করবেন বুঝে শুনে নিয়মিত ডায়াবেটিস এবং প্রেশার মাপা খুবই জরুরী এবং কোন খাবার শর্করা সেটা জানাও জরুরী ।

আরো কিছু বিষয় উল্লেখ না করলেই নয়। যতটুকু সম্ভব টেনশন ফ্রী থাকার চেষ্টা করবেন। হাসি খুশি থাকবেন। প্রতিদিন হাঁটার সময় বা পরে সকালের স্নিগ্ধ রোদ গায়ে লাগানোর চেষ্টা করবেন কারণ রোদে থাকা ভিটামিন ডি আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। রাত আটটার ভেতর সমস্ত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যাবহার থেকে বিরত থাকুন এতে করে আপনার ঘুমের কোয়ালিটি ভালো হবে। মানসিক প্রশান্তির জন্য ভালো ঘুমের কি পরিমাণ গুরুত্ব তা বলে শেষ করা যাবে না। নিম্নের ভিডিওটি সবাই অবশ্যই দেখবেন।

#মানসিক_প্রশান্তি_আনতে_এবং_ডিপ্রেশন_কাটিয়ে_উঠতে_কিকরবেন?
সমস্ত বিষয়টি একটি প্যাকেজ প্রোগ্রাম। লাইফস্টাইল মডিফিকেশন। সবাই ভালবেসে নাম দিয়েছেন #JKLIFESTYLE । #জেকেলাইফস্টাইল
এর ৫ টি শর্ত।
#FAT_ADAPTATION ও #AUTOPHAGY মাধ্যমে আমাদের ও আমাদের পরিবারকে সুস্থ রাখার জন্য নিম্নোক্ত পাঁচটি বিষয় মেনে চলতে হবে।
১। স্বাস্থ্যকর খাবার পরিমিতভাবে গ্রহণ করা ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করা।
২। ফাস্টিং বা উপবাসের মাধ্যমে অটোফেজির সুবিধা নেয়া
৩।ব্যায়াম করা
৪। ভাল ঘুম দেয়া, কমপক্ষে আট ঘণ্টা ঘুমানো এবং রাত ১০ টার মধ্যে ঘুমিয়ে পড়া।
৫। মানসিক প্রশান্তির চর্চা করা।
মনে রাখবেন এই ৫ টি বিষয় একে অপরের সাথে অঙ্গাঅঙ্গি ভাবে জড়িত। একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। এক পিঠ ছাড়া আরেক পিঠ অচল।
আপনি যতটুকু মেনে চলবেন ঠিক ততটুকু ফল পাবেন। মুসলমান হলে নিয়মিত নামাজ পড়বেন বেশী বেশী নফল নামাজ পড়বেন, এতে আপনার ফরজ আদায় হওয়ার পরেও শারীরিক কিছু ব্যায়াম হবে যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। অন্যান্য ধর্মের যারা আছেন তারা প্রার্থনা করবেন। আর সৃষ্টিকর্তার উপর বিশ্বাস রাখুন এবং ভরসা রাখুন অবশ্যই আপনি সফলকাম হবেন। যেমনটি আলহামদুলিল্লাহ আমার মতো অনেকেই হয়েছেন।
মূল লেখাটি লিখেছেন @Azad Abul Kalam ভাই। তবে উনার অনুরোধে আমি কিছু সংযোজন বিয়োজন করেছি।
তথ্য উপাত্ত ডাঃ জাহাঙ্গীর কবির স্যারের ভি‌ডিও থেকে সংগৃহীত।
জানার কোন শেষ নাই। সুস্থভাবে বাচতে হলে আমাদের বেচে থাকার সঠিক নিয়মাবলী অবশ্যই জানতে হবে। যারা এত ভিডিও কোনটা দিয়ে শুরু করবেন বুঝতে পারছেন না।
তাদের জন্য খুবই গুরুত্তপূর্ন যেসব ভিডিও আপনাদের অবশ্যই দেখা এবং জানা জরুরী তা নিম্নে দেওয়া ভিডিও লিংক আকারে দেয়া হলো।
১। ওজন কমাতে চান কিন্তু শুরু কিভাবে করবেন?
https://youtu.be/aDk-fL44rbE
২। ফ্যাট অ্যাডাপটেশন কিভাবে শুরু করবেন?
https://youtu.be/mFyCPeV2IVM
৩। আগে বুঝুন তারপর ফলো করুন অন্ধ হবেন না নিজেকে ক্ষতিগ্রস্ত করবেন না
https://youtu.be/8j2gT1ylMps
৪। শর্করা না খেলে কি কি ক্ষতি ?
https://youtu.be/XNsULbZwwts
৫। শর্করা আসলে কি? মানবদেহে শর্করা কি কি ধরনের প্রভাব ফেলে বিস্তারিত জানুন!
https://youtu.be/YWSQoVCHPdA
৬। ডায়েট চার্ট নয়, ওজন কমাতে দরকার সঠিক লাইফস্টাইল
https://youtu.be/L8VPZlmyNCw
৭। সবার জন্য একই ডায়েট চার্ট একেবারে অব্যর্থ
https://youtu.be/y3iYfEL-PXA
৮। খাবার আসলে জ্বালানী তাই নিজের খাবার বুঝুন এবং সেই অনুযায়ী চলুন
https://youtu.be/xXVkv4tUARc
৯। সবার জন্য একই ডায়েট চার্ট একেবারে অব্যর্থ
https://youtu.be/y3iYfEL-PXA
১০। ওয়াটার ফাস্টিং নিয়ে যত কথা? পানি ছাড়া আর কি কি খেতে পারবো?
https://youtu.be/GWNgVV9OSfQ
১১। অটোফেজি: আপনার হারানো যৌবন ফিরিয়ে দেয়
https://youtu.be/hrAUGwXsjUg
১২। ৭ দিনের ফাস্টিং চ্যালেন্জ: বিনা ঔষুধে রোগ মুক্তি
https://youtu.be/_GCwdzKk6E0
১৩। ৫০০ ঘন্টা ওয়াটার ফাস্টিং চ্যালেন্জ
https://youtu.be/epXwU3y1KZQ
১৪। চর্বি খেলে চর্বি হয় এ কথাটি সত্য নয়
https://youtu.be/cdwQNPcdp5E
১৫। চর্বি গলানোর জন্য কি ধরনের ব্যায়াম করবেন?
https://youtu.be/BjwXdmq98H4
১৬। মাত্র ৬ মিনিটেই জেনে নিন কি করে ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে চর্বি গলাবেন
https://youtu.be/mGXoo_4VdFs
১৭। মাত্র পাঁচ মিনিট হিট (HIIT) করেই ঝরিয়ে ফেলুন পেটে জমে থাকা সকল চর্বি
https://youtu.be/gXn58-lyFSc
১৮। আর নয় চর্বিতে ভয় || চর্বি খেয়ে চর্বি পোড়ানোর গল্প
https://youtu.be/3KL6Z0M57Oo
১৯। যে সকল চর্বি খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি গলে যায়
https://youtu.be/1arCsrFgGKI
২০। মানসিক প্রশান্তি আনতে এবং ডিপ্রেশন কাটিয়ে উঠতে কি করবেন?
https://youtu.be/8ucBeuKuDo0
২১। যারা ডায়েট ফলো করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন তাদের জন্য সমাধান
https://youtu.be/Hh2QqPLCVG8

Collected from Jahangir Kabir's official  Facebook Group 

Post a Comment

Previous Post Next Post